Logo

রাজনীতি    >>   কাশ্মীরে হামলা পরবর্তী সময়ে নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো

কাশ্মীরে হামলা পরবর্তী সময়ে নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো

কাশ্মীরে হামলা পরবর্তী সময়ে নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো

প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় একজোট হয়ে মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো ভারতের বিরোধীদলগুলো। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সর্বদলীয় বৈঠকের পর বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, সরকার যে কোনো অ্যাকশন নিতে পারে। বিরোধীরা সরকারকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবে।

রাহুল বলেছেন, সব দলের নেতারা ঘটনার নিন্দা করেছেন। বিরোধীরা সরকারকে পুরো সমর্থন করে বলেছে, তারা যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে, আমরা পাশে থাকবো।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সব দল সমানভাবে পেহেলগামের হামলার নিন্দা করেছে। সব দল বলেছে, কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা দরকার। সরকার জানিয়েছে, তারা শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে দেশ দুইটি একে ওপরের ওপর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত শুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি দক্ষ কর্মী ও কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ ভিসা স্থগিত করা।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য জারি করা মেডিকেল ভিসাসহ সকল ভিসা বাতিল করা হবে।

ভারত আরও জানিয়েছে, সংশোধিত সময়সীমারভিত্তিতে বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশ ত্যাগ করতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি বলেছেন, হামলার উৎস যে সীমান্তের ওপারে তা একটি বিশেষ নিরাপত্তা বৈঠকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভারত আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা কমানো এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সই হওয়া সিন্ধু নদীর ঐতিহাসিক পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বৃহস্পতিবার সব ভারতীয় মালিকানাধীন বা ভারত-পরিচালিত বিমান সংস্থার জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য স্থগিত করে। তৃতীয় যে কোনো দেশ থেকে ভারতে আসা এবং বা পাকিস্তান হয়ে ভারতে যাওয়া বিমানের জন্যও এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নয়াদিল্লি সব পাকিস্তানি সামরিক কূটনীতিকদের জন্য পারসনা নন গ্রাটা (অবাঞ্ছিত) নোট দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই উপদেষ্টাদের অবিলম্বে পাকিস্তান ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি